
দই বলতে আমরা মূলত বুঝি মিষ্টি বা টক-মিষ্টি দই। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে একটু কম হলেও টকদই আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী। এটি মিষ্টি এবং টক-মিষ্টি দইয়ের চাইতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো।সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম আছে। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবং ভিটামিন B12 এ অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা গুলো হচ্ছে :
১. এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে।
২. টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে।
৩. এতে lactic acid থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন cancer এর রোগীদের জন্য উপকারী। ৪. দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক| তাই এটি পাকস্থলী/ bowel র ও জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
৫. এতে প্রচুর calcium, riboflavin, vitamin B6,B5 ও vitamin B12 থাকার কারণে এটি খুব দরকারী একটি খাবার।
৬. এতে প্রচুর calcium ও vitamin D থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে।
৭. তাই Osteoporosis, Arthritis এ নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৮. কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়|
৯.উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
১০. ডায়বেটিস, হার্টের অসুখে নিয়মিত টক দই সুস্থ রাতে সাহায্য করে।
১১.এটা ব্রেইনকে tyrosine সরবরাহ করে, যা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়|
১২. টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
১৩.দুধ সহ্য হয় না বা lactose intolerance আছে, তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।কারণ দইয়ের ব্যাকটেরিয়া lactose কে ভেঙ্গে lactic acid তৈরী করে।
১৪. টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
আছমা হোসেন মৌ
ডায়েটিশিয়ান এন্ড নিউট্রিশনিস্ট
বিএসসি, এমএস সি-খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড হেড অফ কন্টেন্ট রাইটার – 20 Minute Medical (ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড এন্ড নিউট্রিশন)