যোনি পথের প্রদাহ

#যোনি_পথের_প্রদাহ(Vaginitis)

মহিলাদের যোনি বা যোনিপথে  প্রদাহের সৃষ্টি হলে যোনিপথে ব্যথা, চুলকানি বা স্রাব দেখা দেয়। এ অবস্থাকে Vaginitis বা যোনি পথের ইনফেকশন বলা হয়। 
যোনিতে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা ইস্টের স্বাভাবিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আসলে এ রোগ দেখা দেয়। মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলেও যোনি পথে ইনফেকশন  হতে পারে।

#লক্ষণঃ
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
🔸 যোনীপথে চুলকানি (Vaginal itching)
🔸 পেটে তীক্ষ্ণ ব্যথা (Sharp abdominal pain)
🔸 মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া (Painful urination)
🔸 যোনীপথে ব্যথা (Vaginal pain)
🔸 তলপেটে ব্যথা (Lower abdominal pain)
🔸 যোনিপথের লালভাব (Vaginal redness)
🔸 তলপেটের নিচের দিকে ব্যথা হওয়া (Suprapubic pain)
🔸 গর্ভকালীন ব্যথা (Pain during pregnancy)
🔸 যোনী দিয়ে স্রাব নির্গত হওয়া (Vaginal discharge)
🔸 যোনিদ্বারে জ্বালাপোড়া (Vulvar irritation)
🔸 যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া (Pain during intercourse)

🚩 ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়
Vaginitis এর ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়, যেগুলো থেকে বিরত থাকা উচিতঃ
    ♦️ গর্ভধারণ, জন্মবিরতিকরণ পিলের ব্যবহার বা মেনোপজের জন্য হরমোনে পরিবর্তন দেখা দেওয়া।
    ♦️ যৌন সঙ্গম।
    ♦️ sexually transmitted infection (যে ইনফেকশনগুলো যৌন মিলনের ফলে ছড়ায়) থাকা।
    ♦️ অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েডের ব্যবহার।
    ♦️ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
    ♦️ ভ্যাজাইনাল ডিওডোরেন্ট ও ভ্যাজাইনাল স্প্রের ব্যবহার।
    ♦️ ডুসিং(Douching)।
    ♦️ আঁটসাঁট কাপড় পরিধান করা।
    ♦️ জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য IUD বা intrauterine device-এর ব্যবহার।

#হেলথ_টিপস:
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মাধ্যমে খুব সহজে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন-
– হট টাব বা বাথ টাবে গোসল করা এড়িয়ে চলতে হবে।
– গোসলের পর যৌনাঙ্গ ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে ও শুষ্ক রাখতে হবে।
– কোনভাবেই সুগন্ধিযুক্ত ও রুক্ষ সাবান ব্যবহার করা যাবে না।
– সুগন্ধিযুক্ত প্যাড বা tampoons ব্যবহার করা যাবে না।
– মলমূত্র ত্যাগ করার পর যৌনাঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
– মল ত্যাগের পর পায়ু এলাকা সামনে থেকে পেছনে ধুয়ে ফেলতে হবে, প্রস্রাব করার পর টয়লেট পেপার দিয়ে চেপে মুছতে হবে, কখনো ঘষবেন না এবং পায়খানার রাস্তা থেকে প্রস্তাবের রাস্তার দিকে কখনো মুছবেন না। তাতে পায়ু এলাকা থেকে যোনীতে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের ঝুঁকি কমবে।
– যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার করতে হবে।
– সবসময় সুতি কাপড়ের অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে।
– অ্যান্টিফাংগাল উপাদান ও প্রোবায়োটিকসের সাহায্যে ইস্ট ইনফেকশনের চিকিৎসা সম্ভব। এক্ষেত্রে চিনি কম খেতে হবে। এবং নিয়মিত টক দই খেতে হবে।
– যাদের ঘন ঘন এই সমস্যা হচ্ছে তারা পরিষ্কার গামলায় সহনীয় মাত্রায় গরম পানি নিয়ে তাতে বসে থাকতে হবে ১৫ মিনিট করে দিনে তিনবার। আরামদায়ক হবে।

হেলথ এওয়ারনেস প্রোগ্রাম কোর্স করতে ও স্বাস্থ্যগত যেকোন প্রয়োজনে ঘরে বসে অনলাইনে ডাক্তার দেখাতে ইনবক্স করুন 20 Minute Medical এর পেইজে অথবা www.20minutemedical.com ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

ডাঃ তাজরীন জাহান
Advisor
20 Minute Medical

0 Shares:
Leave a Reply
You May Also Like

রক্তশূন্যতা

বাংলাদেশে নারীদের গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হার সবচেয়ে বেশি। এই রক্তশূন্যতার কারণে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হতে পারে। ♦️রক্তশূন্যতা…