
হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম মাস পবিত্র রমজান মাস। এই মাস আমাদের ইবাদত বন্দেগির মাস। রমজান মাসের বিশেষ তাৎপর্য হচ্ছে ফজর থেকে শুরু করে সারাদিন না খেয়ে থাকা অর্থাৎ রোজা রাখা এবং সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে সিয়াম(রোজা) পালন সম্পন্ন করা। তাই পবিত্র এই মাসে সুস্থ শরীরে সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এই রমজান মাসকে মনে করে উদরপূর্তির মাস অর্থাৎ রমজান মাসেই যেন তারা নানা ধরনের মুখরোচক খাবার খেতে পারে। এখানে মুখরোচক বলতে বোঝানো হয়েছে ভাজা – পোড়া ও অনেক মশলা যুক্ত খাবার যেটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।
🔹রোজা রাখার উপকারিতা 🔹
🔽সারাদিন রোজা রাখার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ -প্রত্যঙ্গ গুলো নতুন করে কার্য সম্পাদনের জন্য তৈরি হয় এমনকি শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ গুলো শরীর থেকে বের করে দেয় ও শরীরকে বিষমুক্ত করে থাকে।
🔽রোজা রাখার ফলে Immunity (ইমিউনিটি) বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 🔽রোজা রাখলে খারাপ চর্বি গুলো Burn(বার্ন) হয় ফলে ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়।
🔽এছাড়াও কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ব্লাড ভেসেলকে উন্নত করে বিভিন্ন ধরনের হার্টের অসুখ থেকে রক্ষা করে।।
🔽মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ও অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
🔽ক্যান্সার কোষকেও ধ্বংস করে দেয়।
🔽রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
🔽Acidity (এসিডিটি)বা গ্যাসের সমস্যা নিরাময় করে।
রোজা রাখার পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা সারাদিন রোজা রাখার পর যদি খাবারে সামান্য ব্যতিক্রম হয় তাহলেই দেখা দেবে মারাত্মক জটিলতা তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। তাই সুস্থ শরীরে সিয়াম পালন করতে হলে অবশ্যই খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।।ইফতারে বেশি করে পানি ও পানি জাতীয় খাবার রাখা যেমন তাজা ফল ও ফলের রস।
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে বেছে নিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার যা কিনা পাকস্থলী সহজেই হজম করতে পারে অর্থাৎ সহজে পরিপাকযোগ্য খাবার খাওয়া।
……………চলবে।
সাদিয়া আরেফিন শীতল
নিউট্রিশনিস্ট
কন্টেন্ট রাইটার -20 Minute Medical
(ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্থ কন্টেন্ট রাইটিং)