
◾সাধারণত ইফতার পরবর্তী রাতের খাবারে বৈচিত্র্য আনা যায় তবে যাদের কোন রোগ বা অসুস্থতা থাকে তাদের খাবার তৈরীতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।ইফতারে সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। অনেকেই আছেন রাতের খাবার খেতে চাননা কিন্তু সারাদিন রোজা রাখার পর শুধুমাত্র ইফতারই যথেষ্ট নয়। রাতের খাবারের ভুমিকা রয়েছে কেননা কেবলমাত্র ইফতার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় না কারণ ইফতারে সব ব্যালান্স (Balance)করে খাওয়া সম্ভব হয় না। আর সারাদিন রোজা রাখার পর একবারেই অনেক বেশি খাবার খাওয়া উচিত নয়।
◾ যারা অসুস্থ (বিশেষ কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়া খাবার নিয়ন্ত্রণের দরকার হয় না), যাদের প্রয়োজনের তুলনায় ওজন কম তারা কোনভাবেই রাতের খাবার বাদ দিবেন না।
◾ যারা ওজন কমাতে চান তারাও খাবারগুলোকে ইফতার ও রাতের খাবারে ভাগ করে খেতে পারবেন।।
◾চাইলেই কেউ রাতের খাবারে ফাস্ট ফুড,,জান্ক ফুড,, অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার,, বিরিয়ানি,,তেহারি ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন কিন্তু সেটা প্রতিদিন খেলে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কোন ধরনের শারীরিক জটিলতা থাকলে এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যেমন এসিডিটি,,আইবি এস এর সমস্যা, হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলবেন।
◾ যারা ওজন কমাতে চান তারা বিভিন্ন ধরনের সালাদ আইটেম রাখতে পারেন। ◾অনেকেরই সাহরীতে ডিম ও দুধ খাওয়ার অভ্যাস আছে যা কখনই একসাথে খাওয়া ঠিক না এতে বদহজম, বমিভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাই রাতের খাবারে রাখতে পারেন ডিম আর সাহরীতে দুধ।।প্রতিদিনের খাবারে একটি করে ডিম রাখা দরকার কেননা ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস।
◾রাতের খাবারে অধিক মশলাযুক্ত খাবার রাখলে সাধারণত কোন সমস্যা হয়না যেটা ইফতার কিংবা সাহরিতে রাখলে সমস্যা হয়ে থাকে।
………….চলবে।।।
সাদিয়া আরেফিন শীতল
নিউট্রিশনিস্ট
কন্টেন্ট রাইটার -20 Minute Medical
(ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্থ কন্টেন্ট রাইটিং)