
আমাদের খাদ্যে তালিকার একটি আকর্ষনীয় প্রাকৃতিক উপাদান হল চিনি। সাদা এবং লাল এই দুইধরনের চিনি বাংলাদেশের বাজারে সাদা ও লাল চিনি নামে পরিচিত।
লাল চিনিতে গুড়ের পরিমান বেশী থাকার কারনে এটি বাদামী বর্নের হয়ে থাকে অন্যদিকে সাদা চিনি তৈরী করা হয় পরিশোধন প্রক্রিয়ায় গূড় সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে। লাল চিনি এবং সাদা চিনিতে প্রায় একই ক্যালরি পরিমান থাকে। ১০০ গ্রাম লাল চিনিতে ৩৮০ ক্যালরি থাকে এবং ১০০ গ্রাম সাদা চিনিতে ৩৮৫ ক্যালরি থাকে। তবে দুই চিনির মধ্যে লাল চিনিতে পুষ্টিগত পার্থক্য হল, লাল চিনিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন উপস্থিত থাকে যেগুলো সাদা চিনিতে থাকেনা।
সাদা চিনি বিশুদ্ধ কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে চর্বির পরিমান বাড়িয়ে তোলে এবং অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে। সাদা চিনি সুক্রোজের সহজতম রুপ। রক্তে সহজে মিশে যায় এবং ব্লাড গ্লুকোজ এর মাত্রা বাড়িয়ে তোলে যা একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য মারাত্মক।
অন্যদিকে লাল চিনিতে তরলের পরিমান বেশী থাকে। প্রতি গ্রাম সাদা চিনির তুলনায় প্রায় 0.25 kcal কম থাকে। অর্থাৎ লাল চিনি স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে বেশী গ্রহনযোগ্য।
👉গাইডলাইন: চিনি কোন স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। এর কোন পুষ্টিগুন নেই। তাই চিনি খাওয়া সীমিত করতে হবে। সেইক্ষেত্রে মোট ক্যালরির ৫-১০% গ্রহন করা যেতে পারে। তবে চিনি বর্জন করে চিনির পরিবর্তে গুড় খাওয়া যেতে পারে কারণ যেকোনো চিনির তুলনায় গুড় স্বাস্থ্যকর।
Tasnim Kifayat
B.Sc in Food and Nutrition
Content Writer – 20 Minute Medical (Department of Health Content Writing)