
বাংলাদেশে নারীদের গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হার সবচেয়ে বেশি। এই রক্তশূন্যতার কারণে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হতে পারে।
♦️রক্তশূন্যতা কেন হয়
বিভিন্ন কারণেই রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান হলো আয়রন। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া হতে পারে। একে বলে ‘আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া’।
🔸 এ ছাড়া ভিটামিন-বি ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব, দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ কিছু রোগ, যেমন: কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া, যক্ষা, ব্লাড ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়া, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে।
সাধারণত অপুষ্টির কারণে আয়রনের ঘাটতি হয়। খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে এ অভাব দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের বাড়তি আয়রনের প্রয়োজন, কিন্তু দেখা যায় আমাদের দেশে গর্ভবতী মায়েরা অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সুযোগ পান না।
🔸আরও একটি কারণে নারীরা আয়রনের ঘাটতিতে ভোগেন। সেটি হলো ঋতুস্রাবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। আবার দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষরণ হলেও আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। পেপটিক আলসার, পাইলসের মতো জটিলতার কারণেও আয়রনের ঘাটতি হয়ে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
♦️লক্ষণ
➡️চোখ-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
➡️দুর্বল লাগা
➡️মাথা ঘোরা
➡️বুক ধড়ফড় করা
➡️মাথাব্যথা
➡️বমি বমি ভাব
➡️চোখে ঝাপসা দেখা,
➡️মুখে ঘা
রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগা
♦️প্রতিকার
অ্যানিমিয়া প্রতিকারের মুলমন্ত্র খাবারে নিহিত। আপনি যদি রক্তশূন্যতায় ভোগেন, তাহলে সবার আগে নজর দেবেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। আর চেষ্টা করতে হবে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিকার না খুঁজে আগেই প্রতিরোধ করার।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: কচুশাক, ডাঁটাশাক, পালং শাক, শিম ও শিমের বিচি, কাঁচা কলা, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, গরু-খাসির মাংসে প্রচুর আয়রন থাকে।
প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ ডা: এর পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা।
মদিনাতুল আমিনা
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান
কন্টেন্ট রাইটার (ডিপার্টমেন্ট অব হেল্থ কন্টেন্ট রাইটার)
20 Minute Medical