🥕গাজর ( Carrot) 🥕

গাজর অধিক পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ একটি সব্জি যা মূলত শীতকালীন হলেও প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। গাজরে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। বিশেষ করে ভিটামিন এ অধিক পরিমাণে বিদ্যমান।
গাজর রান্না করে খাওয়া যায়, সালাদ হিসেবে , নানা ধরণের নাস্তায় যেমন পাস্তা,নুডলস, হালুয়া,পায়েস,বিভিন্ন ধরণের পিঠা, নাড়ু ইত্যাদি নানা ভাবেই খাওয়া যায়।

🥕প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরের পুষ্টিমূল্যঃ 🥕
খাদ্যশক্তি – ৪১ কিলোক্যালরি
শর্করা – ৯.৫৮গ্রাম
খাদ্যআশ- ২.৮ গ্রাম
চিনি – ৪.৭৪গ্রাম
আমিষ-০.৯৩গ্রাম
চর্বি – ০.২ গ্রাম
ফোলেট- ১৯ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন এ- ১৬,৭০৬ গ্রাম
ভিটামিন সি – ৫.৯ মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে – ১৩.২ মাইক্রোগ্রাম
ক্যালসিয়াম -৩৩ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম-১২ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম – ৩২০ মিলিগ্রাম
লৌহ – ০.৩০ মিলিগ্রাম ও
পানি- ৮৮%

🥕গাজরের উপকারিতাঃ 🥕

🥕গাজরে নানা ধরনের পুষ্টি গুনাগুনের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বিদ্যমান।

🥕গাজরের প্রধান পুষ্টি উপাদান হল ভিটামিন এ, গাজরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা মানুষের দৃষ্টি শক্তিকে উন্নত করে ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে থাকে।

🥕এছাড়াও এতে রয়েছে লুটেইন নামক উপাদান যা পাকস্থলীর ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।

🥕হার্টের নানা রকমের রোগ থেকে রক্ষা করে।

🥕এছাড়াও দেহকোষকে ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে থাকে।

🥕 গাজরে বিদ্যমান খাদ্যআঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বৃহদান্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে।

🥕এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে।

🥕ওজন কমাতে সাহায্য করে ।

🥕রক্তের কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করে।

🥕🥕তবে অধিক মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন গ্রহণের ফলে শরীর কমলা হলুদাভ বর্ণের হয়ে থাকে যাকে ক্যারোটেনেমিয়া বলে। অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যারোটিন গ্রহণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরের বিপাকীয় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও যাদের হাইপোথাইরয়ডিজম রয়েছে তাদের বিটা ক্যারোটিন থেকে ভিটামিন এ তে রুপান্তরিত হতে পারে না।🥕🥕

সাদিয়া আরেফিন শীতল
নিউট্রিশনিস্ট
কন্টেন্ট রাইটার – 20 Minute Medical (ডিপার্টমেন্ট অফ হেল্থ কন্টেন্ট রাইটিং)