ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুর যত্ন
এই সময়ে শিশুর ত্বকের বড় সমস্যা শুষ্কতা। তবে সমস্যা এড়িয়ে শিশুকে ঝরঝরে রাখতে পারেন একটু যত্ন নিয়েই।
যেহেতু আবহাওয়া শুষ্ক, তাই শিশুর ত্বকেও শুষ্কতা দেখা দিতে পারে। তবে শুষ্কতার ভয়ে খুব ঘন ঘন লোশন বা তেল লাগানো ঠিক নয়। কারণ বারবার লোশন বা তেল লাগানো হলে ত্বকের স্বাভাবিক ছিদ্রগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এতে ত্বকে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।’
আবার ত্বক শুষ্ক থাকলে চুলকানি হতে পারে, দেখা দিতে পারে জীবাণুর সংক্রমণ । তাই শিশুর ত্বক আর্দ্র রাখতে সতর্কতা জরুরি । শিশুদের জন্য জলপাই তেল বেশ কার্যকর । ওদের ত্বকের উপযোগী লোশনও লাগানো যেতে পারে । ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। একবার কোনো সাবানে শিশুর অ্যালার্জি দেখা দিলে আর কখনোই ওই উপাদানে তৈরি সাবান ব্যবহার করা যাবে না । পোশাকের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য । কোনো কাপড়ে শিশুর অ্যালার্জি হলে পরবর্তী সময়ে ওই উপাদানের পোশাক পরানো থেকে বিরত থাকবেন ।
শিশুর গোসলের পর হালকাভাবে শরীর মুছে দিয়েই ময়েশ্চারাইজার লাগানো ভালো । গোসলের পানি যেন খুব বেশি গরম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। গ্লিসারিনযুক্ত সাবান শিশুদের জন্য ভালো । শীতের পোশাকের নিচে হালকা সুতির পোশাক পরানো হলে শিশু স্বস্তি পাবে । এ ছাড়া এ সময়টাতে পালংশাক, ফুলকপিসহ অন্য যেসব সবজি পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়ে স্যুপ বা খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন ।
২ বছরের কম বয়সী শিশুঃ
শীতকালে এই বয়সের শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই । এক দিন পর পর গোসল করালেই শিশুর ত্বক ভালো থাকবে। শিশুর গোসলের জন্য কুসুমগরম পানি ব্যবহার করুন । গোসলের পর জলপাই তেল বা শিশুর ত্বকের উপযোগী হালকা কোনো ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগিয়ে দিতে পারেন ।
২ থেকে ৭ বছরের শিশুঃ
এই বয়সী শিশুরা বেশি খেলাধুলা করে । বাইরে গিয়ে খেলাধুলা শুরু করা এবং অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের উপযুক্ত সময় এটি । আজকাল অনেক শিশুই ৩ বছর বয়স থেকে প্রাক বিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে যেতে শুরু করে । এই বয়সী শিশুদের সবকিছুতেই আগ্রহ বেশি । জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও বেশি ওদের। দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত শিশুদের বাধা দেবেন না । খেলা শেষে ও বাইরে থেকে ফেরার পর অবশ্যই হাত-পা পরিষ্কার করিয়ে দিন । খেলার সময় শিশু ঘেমে যাচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন । ঘেমে গেলে বা গরম লাগলে ভারী শীতের পোশাক খুলে দিন । ঘাম মুছেও দিতে হবে । ওদের অবশ্যই কুসুমগরম পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে । গোসলের সময় সাবানও ব্যবহার করা যাবে । তবে সাবানটি হতে হবে শিশুর ত্বকের উপযোগী । গোসলের পর জলপাই তেল বা শিশুদের উপযোগী লোশন লাগিয়ে দিন ।
৮ থেকে ১২ বছরের শিশু:
এই বয়সী শিশু অনেকটাই নিজের যত্ন নিতে শিখে যায় । ঘেমে গেলে শরীর মুছে নেওয়া বা ভারী কাপড় খুলে ফেলা, কুসুমগরম পানিতে গোসল, গোসলের সাবান, ত্বকের উপযোগী লোশন বা জলপাই তেল লাগানোর মতো কাজে শিশুকে গুছিয়ে দিতে সাহায্য করুন ।
1 comment
Thanks